এটিই তামান চি লিউংয়ের ২২ জন রেস্তোঁরা শ্রমিকের ভাগ্য, প্রতিদিন ১২ ঘন্টা পরিশ্রম করে ১০ আর এম বেতন পান। পুলিশ বুকিট আমান ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দ্বারা একটি পুলিশ দলকে সফলভাবে অপারেসি দিয়ে এই সকল শ্রমিকদের উধার করেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২.৪৫ মিনিটে এই অভিযান পরিচালনা করেন টাস্কফোর্স স্বরাষ্ট্র বিষয় পরিচালক জেএসজে বুকিত আমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফাদিল মারসাস।
পরিচালিত তথ্য ও গোয়েন্দার ফলস্বরূপ ইন্টিগ্রেটেড শর্টকাট অপস অভিযান একটি রেস্তোঁরা ও দুই শ্রমিকের হোস্টেলে অভিযান চালানো হয় তিনি বৃহস্পতিবার সিনার হারিয়ানকে বলেন, “জোরপূর্বক শ্রমের শোষণের তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার করা রেষ্টুরেন্ট এর মালিক কে। প্রতিশ্রুতি অনুসারে মজুরি প্রদান না করে , সকল শ্রমিককে হোস্টেলে বন্দী করা হয়েছিল এবং নিয়োগকারী ও অভিভাবকদের কাছ বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় তিনি আরো জানান তাঁর দল ১১জন ইন্দোনেশিয়ান মহিলা এবং ১১ জন ভারতীয় পুরুষ যাদের বয়স ২৩ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ২২ জন বিদেশি কর্মীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ছাড়া তারা ৪০ টি পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন, একটি বিএমডাব্লু গাড়ি এবং নগদ আর এম জব্দ করেন। নগদ রিংগিতের পরিমান ছিলো ৩৮৫৮ আর এম । প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে নিয়োগকর্তা প্রতিশ্রুতি অনুসারে এক মাসের আরএম ১,৫০০ বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও তার পরিবর্তে কেবল আরএম ১০ দিন প্রদান করেছিলেন, ভুক্তভোগীদের কাজ শেষে হোষ্টেলে তালা বন্ধ করে রাখা হত। ফোনে কথা বলার সুযোগ ও দেওয়া হত না। আইন অনুযায়ী অ্যাক্ট ১৯৫৯ / ৬৩এর ৫৫ বি ধারায় এবং আইনের ধারা ১২ (১) (চ) এর অধীনে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬।